office time (10am-6pm)
+880 - 1613141603
info@edu-bridgebd.com
  • Comments: 0
  • Posted by: Edu-Bridge

IE LTS (International English Language Testing System) হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সনদ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা কতটুকু সেটি যাচাই করা হয়। IELTS পরীক্ষা দু’ধরনের হয়- একটি একাডেমিক, আরেকটি জেনারেল ট্রেনিং। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক, তাদেরকে দিতে হয় একাডেমিক পরীক্ষা। আর মাইগ্রেশন, ট্রেনিং এবং প্রফেশনালদের জন্য জেনারেল। যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এই পরীক্ষা দেয়ার জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার নেই।

 

টেস্ট ফরম্যাট

একাডেমিক এবং জেনারেল দুই মডিউলেই মোট চারটি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই করা হয়- লিসেনিং, রাইটিং, রিডিং এবং স্পিকিং। লিসেনিং, রাইটিং এবং রিডিং পরীক্ষা হবে একইদিনে কোনোরকম বিরতি ছাড়া। তবে স্পিকিং পরীক্ষা হবে এক সপ্তাহ আগে অথবা পরে। পরীক্ষার আগে দিন-তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। মানে আপনাকে দুদিন পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার সময়সীমা মোট ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।

 

রাইটিং (Writing)

সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট

রাইটিং এ সাধারণত যাচাই করা হয় আপনি কতটুকু কল্পনা শক্তি খাটাতে পারেন। এক ঘণ্টার মাঝে আপনাকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রথম প্রশ্নে একটি গ্রাফ, চার্ট, ডায়াগ্রাম অথবা ম্যাপ দেয়া থাকবে। সেটি দেখে আপনাকে বিশ্লেষণ করতে হবে। আর দ্বিতীয় প্রশ্নে একটি আর্গুমেন্ট অথবা স্টেটমেন্ট দেয়া থাকে যেটির পক্ষে-বিপক্ষে আপনাকে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, দ্বিতীয় প্রশ্নে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ নাম্বার থাকে। তাই এ প্রশ্নের উত্তর আগে দেয়াই ভালো।

 

প্রথম প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন। প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ১৫০ শব্দের মাঝে। অপরদিকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ২৫০ শব্দের ভিতরে। আপনি চাইলে শব্দসীমার বাইরেও কিছু লিখতে পারেন, তবে কোনোভাবেই কম লেখা যাবে না। তাহলে নাম্বার কাটা যাবে। একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং-এর রাইটিং এ প্রথম প্রশ্নে একটু পার্থক্য আছে। জেনারেলের ক্ষেত্রে ডায়াগ্রাম, চার্ট ইত্যাদির জায়গায় একটি চিঠি লিখতে হয়; সেটি ফরমাল, ইনফরমাল অথবা পার্সোনাল হতে পারে। দ্বিতীয় প্রশ্ন দুই মডিউলেই একই।

 

স্পিকিং (Speaking)

সময়সীমাঃ ১০-১৫ মিনিট

 

আপনি কতটুকু গুছিয়ে আর কতটা সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন, এই টেস্টের মাধ্যমে সেটিই যাচাই করা হয়। একজন ট্রেইনারের সাথে আপনার কথোপকথন করতে হবে। এই পরীক্ষাটি ৩টি অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশে আপনার ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে জানতে চাইবে। যেমন- আপনি থাকেন কোথায়, আপনার পছন্দের রঙ কোনটি, আপনার শহরের বিবরণ অথবা কিভাবে আপনি বাসা থেকে পরীক্ষার হলে পৌঁছেছেন। অর্থাৎ খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন করবে। তারপর দ্বিতীয় অংশে আপনাকে কাগজ কলম দিবে আর একটি টপিক ঠিক করে দিবে যেটি নিয়ে আপনাকে কিছু বলতে হবে। টপিক দেয়ার পর আপনাকে এক-দেড় মিনিটের মতো সময় দিবে কাগজে নোট নেয়ার জন্য। তারপর আপনাকে টপিকের উপর মোটামুটি দুই মিনিটের মতো বলতে হবে। মনে রাখবেন, ২ মিনিট শেষ হয়ে গেলেও ট্রেইনার আপনাকে না থামতে বলার আগে না থামাই ভালো।

 

এরপর তৃতীয় এপিসোডে আপনাকে যে টপিক দিয়েছিলো, সেটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করবে আর সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।

 

লিসেনিং (Listening)

সময়সীমাঃ ৩০ মিনিট

 

লিসেনিং এ আপনাকে মোট ৪টি রেকর্ডিং শোনানো হবে। উল্লেখ্য, রেকর্ডিং এ কনভারসেশন থাকবে ব্রিটিশ উচ্চারণে। এই চারটি রেকর্ডিং শোনার পর আপনাকে আলাদা একটি উত্তরপত্রে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটি রেকর্ড একবারই বাজিয়ে শোনানো হবে।

 

রেকর্ডিং ১ – এক নাম্বার রেকর্ডিং এ থাকবে দুজন ব্যক্তির মাঝে দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যবহার করা হয় এমন একটি বিষয়ে কথোপকথন।

রেকর্ডিং ২ – এই রেকর্ডে আপনাকে সোশ্যাল কন্টেক্সটে একটি মনোলোগ শোনানো হবে; যেমন- স্থানীয় সোশ্যাল ফ্যাসিলিটি নিয়ে একটি স্পিচ।

রেকর্ডিং ৩ – এখানে সর্বোচ্চ ৪ জন ব্যক্তির মাঝে হচ্ছে এমন একটি কথোপকথন আপনাকে শোনানো হবে, সেটি কোনো ট্রেনিং অথবা শিক্ষা বিষয়ে হতে পারে; যেমন- ৩ জন ছাত্র শিক্ষকের সাথে একটি অ্যাসাইনমেন্ট অথবা প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করছে এমন।

 

রিডিং (Reading)

সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট

 

রিডিং এ মোট ৪০টি প্রশ্ন থাকবে। এই প্রশ্নগুলো দিয়ে তারা আপনি একটি আর্টিকেল পড়ে মূল বিষয়টি ধরতে পারছেন কিনা, কোনো একটি বিষয়ে আপনি কতটুকু বুঝেছেন, লজিকাল আর্গুমেন্ট, স্কিমিং, লেখকের লেখার উদ্দেশ্য এবং মতামত বুঝতে পারছেন কিনা ইত্যাদি যাচাই করবে।

রিডিং টেস্টে একাডেমিক এবং জেনারেল টেস্টে একটু পার্থক্য আছে। তাই আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করছি।

একাডেমিকে আপনাকে মোট ৩টি লম্বা আর্টিকেল তুলে দিবে জার্নাল, ম্যাগাজিন, বই অথবা পত্রিকা থেকে। এই আর্টিকেলগুলো বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা অথবা জার্নাল হতে পারে। জার্নালগুলো এমন হবে যাতে সাধারণ ছাত্ররা পড়ে বুঝতে পারে। তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

জেনারেলের রিডিং একাডেমিক থেকে তুলনামূলক সহজ। এখানেও ম্যাগাজিন, পত্রিকা, বই, বিজ্ঞাপন অথবা হ্যান্ডআউট থেকে লেখা তুলে দিবে। তবে জেনারেলে একাডেমিকের মতো গবেষণা অথবা বিজ্ঞান বিষয়ক না, বরং দৈনন্দিন জীবনে আপনি মুখোমুখি হবেন এমন বিষয়ই থাকবে।

 

গ্রেডিং সিস্টেম কি?  

IELTS এ কোনো পাশ নাম্বার নেই। তার বদলে দেয়া হয় ব্যান্ড স্কোর। আপনি কত নাম্বার পেয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে ১-৯ এর মাঝে আপনাকে একটি স্কোর দেয়া হবে। IELTS এর চারটি মডিউল আছে- রাইটিং, রিডিং, স্পিকিং এবং লিসেনিং। এই চার মডিউলে আপনি যত পাবেন তার গড় হচ্ছে আপনার ওভারঅল ব্যান্ড স্কোর। সাধারণত ৬ বা তার উপরের স্কোর করতে পারলে সেটিকে ভালো ব্যান্ড স্কোর ধরা হয়। নিচের ছবিতে কত নাম্বার পেলে কত ব্যান্ড স্কোর সেটি দেয়া হলো।

 

প্রস্তুতি কি ঘরে বসে নিবো নাকি কোচিং এ ভর্তি হবো?

এটি পুরোটাই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার যদি কমিটমেন্ট থাকে, তাহলে ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েই প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। কোচিং সেন্টারে শুধু কিছু টেকনিক শিখিয়ে দেয়, বাকিটা আপনার নিজের কাছে। তবে আপনি কিছুদিন নিজে প্রস্তুতি নিয়ে তারপর একটি মক টেস্ট দিতে পারেন যেকোনো জায়গায় নিজের লেভেল যাচাই করার জন্য। মক টেস্ট দিলে পুরো প্রক্রিয়ার সাথেও পরিচিত হতে পারবেন। নিজেই প্রস্তুতির জন্য ieltsliz.com এই সাইটে যেতে পারেন। এই সাইটটি অনেক উপকারি। তাছাড়া ইউটিউব এবং বিভিন্ন সাইটের সাহায্য নিতে পারেন। আর বাসায় প্রস্তুতির জন্য ক্যামব্রিজের IELTS এর বইগুলো নিতে পারেন। দাম মাত্র ৬০-৭০ টাকা করে প্রতি পিস। কেনার সময় সিডি আছে কেনা তা অবশ্যই দেখে নিবেন।

 

কোথায় এবং কিভাবে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবো?

আপনি চাইলে IDP অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিল যেকোনো একটির অধীনে পরীক্ষা দিতে পারেন। ঢাকায় ধানমন্ডি, উত্তরা সহ মোট ৫টি জায়গায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের টেস্ট সেন্টার আছে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট এবং রাজশাহীতেও ব্রিটিশ কাউন্সিলের টেস্ট সেন্টার আছে। অনলাইন এবং টেস্ট সেন্টারে গিয়ে দু’ভাবেই পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়। বিস্তারিত জানার জন্য IDP অথবা ব্রিটিশ

কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারেন।

 

IELTS অনেক সহজ একটি পরীক্ষা। তাই এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ পরীক্ষায় অল্প সময়ে ভালো করার কোনো সুযোগ নেই যদি আপনি ইংরেজি চর্চার মাঝে না থাকেন। তবে যাদের বেসিক ভালো, তারা অল্প কিছুদিনের চেষ্টায় শুধু টেকনিক শিখেই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। ইংরেজি মুভি দেখুন, পত্রিকা পড়ুন, খবর দেখুন টিভিতে আর কয়েক বন্ধু মিলে স্পিকিং প্র্যাক্টিস করুন। সোজা কথায় আপনাকে এর পেছনে সময় ব্যয় করতে হবে। এ পরীক্ষায় ভালো করার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই।

Author: Edu-Bridge

Leave a Reply